শেখ কাজিম উদ্দিন : দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সহজীকরণ এবং দ্রুত পণ্য খালাস প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে কাস্টমস কর্মকর্তাদের উজ্জীবিত হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহমান খান।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সবার আগে, তাদের সুবিধা নিশ্চিত করতে দেরি নয়-অ্যাকশন দরকার।” “দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহজীকরণ ও দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য কাস্টমস কর্মকর্তাদের উৎসাহিত করতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।
সুতা আমদানির বিষয়ে তিনি বলেন, “সুতা আমদানি বন্ধ নেই, সি-পোর্ট দিয়ে আমদানি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা চাইলে ল্যান্ড পোর্ট দিয়েও আমদানির বিষয়ে আমরা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনা করতে পারি।”
সার্ভার জটিলতা প্রসঙ্গে তিনি জানান, “এই সমস্যা দেশের সব কাস্টমসে হচ্ছে। আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।”
এর আগে তিনি বেনাপোল স্থলবন্দর কার্গো ভেহিকল টার্মিনাল ও বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন।
এ সময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস) মোবিনুল কবির এবং সদস্য (প্রশাসন) মোয়াজ্জেম হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক (উপ-সচিব) শামীম হোসেন রেজা, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাঃ কাজী নাজিব হাসান সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
এর আগে, চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রহমান খান বেনাপোল কাস্টমস হাউসে পৌঁছালে কাস্টমসের নবাগত কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে বছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা এবং বিভিন্ন প্রযুক্তিগত জটিলতা দূর করে বাণিজ্য আরও গতিশীল করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান।