শেখ কাজিম উদ্দিন : যশোরের সীমান্ত পাড়ে রাত গভীর হলেই সক্রিয় হয়ে ওঠে চোরাচালান চক্র। কখনও নদীপথ, কখনও পায়ে চলা গোপন পথ, কখনও রেলপথ, কখনও বা যশোর-কোলকাতা প্রধান সড়ক বৈধপথ দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অবৈধভাবে যাতায়াত হচ্ছে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, স্বর্ণের বার, রুপা, বৈদেশিক মুদ্রা, এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র।
রাতারাতি কোটিপতি বনেযেতে যা পারাপারে সক্রিয় রয়েছে স্থানীয় অনেকগুলো শক্তিশালী সিন্ডিকেট। যাদেরকে প্রতিনিয়ত কঠোর নজরদারির মধ্যে রেখে তাদের অবৈধ পণ্যসামগ্রীসহ পণ্য পাচারকারি জন আটক পূর্বক ব্যাপক হুমকির মুখে রেখেছেন বিজিবি।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবি জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত মাত্র সাত মাসে যশোর সীমান্তে একের পর এক অভিযান চালিয়ে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা প্রায় ৪৩ কোটি ৬৮ লাখ ১৭ হাজার টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে। এ সময় ৪৯ জন চোরাকারবারীকে আটক করা হয়েছে। যাদের অনেকেই পেশাদার চোরাকারবারী চক্রের সদস্য বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
বিজিবির তথ্যানুযায়ী গত ৭ মাসে ৭ কেজি ৫৫৪ গ্রাম স্বর্ণ, ৭০ কেজি ৫০০ গ্রাম রুপা, ৩৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, ৭৫৭২ বোতল ফেনসিডিল, ১৮৬২ বোতল বিদেশি মদ, ২৪.১২৫ লিটার দেশি মদ, ১৯৭ কেজি গাঁজা, ১৯৮ পিস ইয়াবা, ৫০০ গ্রাম হেরোইন, ১৭ হাজারের বেশি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট, ১৬ বোতল বিয়ার, বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, কসমেটিকস, ওষুধ, আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলাবারুদসহ বিভিন্ন চোরাচালানী পণ্য জব্দ করেছে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী, এসপিপি, পিএসসি জানান, ভারতের সঙ্গে যশোর ব্যাটালিয়নের ৭০.২৭৪ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে চোরাচালান দমনে দেশের আস্থার প্রতীক হিসেবে কাজ করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তাদের ধারাবাহিক অভিযানে সম্প্রতি নতুন মাইলফলক তৈরি করেছে যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি)।