সীমান্তের খবর ডেস্ক : দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদারে মহেশখালী ও পায়রায় দুটি নতুন তেল শোধনাগার (রিফাইনারি) নির্মাণে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। সরকারি অর্থায়নের পরিবর্তে এ দুটি প্রকল্প বিদেশি বিনিয়োগে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)–এর মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিপিসির চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “মহেশখালী এবং পায়রায় রিফাইনারি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে মহেশখালীতে বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি শোধনাগার নির্মাণ করা হবে।”
তিনি আরও জানান, বর্তমানে ফসিল ফুয়েলভিত্তিক প্রকল্পে বিনিয়োগে অনীহা দেখা যাচ্ছে। তাই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে রপ্তানির সুযোগ রেখে প্রকল্প পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বিপিসি চেয়ারম্যান আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারী পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।”
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় সদ্যসমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইস্টার্ন রিফাইনারির ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টন ক্রুড অয়েল পরিশোধনের নতুন রেকর্ড উপলক্ষে। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ইআরএল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাসিমুল গনি, বিপিসির পরিচালক (অপারেশন ও বাণিজ্য) ড. এ কে এম আজাদুর রহমান, এবং বিপিসির সচিব শাহিনা সুলতানা।
সংবাদ সম্মেলনে ইস্টার্ন রিফাইনারি ইউনিট-২ প্রকল্প নিয়েও কথা বলেন বিপিসি চেয়ারম্যান। তিনি জানান, “এই প্রকল্পে বিপিসি ১.৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করবে এবং বাকি অর্থ সরকারি বাজেট থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে। বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত হলেই ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপোজাল (ডিপিপি) জমা দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে ইআরএল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নাসিমুল গনি বলেন, “ইউনিট-২ প্রকল্পের প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন। যথাসময়ে তহবিল নিশ্চিত হলে দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু করা সম্ভব হবে।”